খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে জুলাই স্মরণে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহমুদ আলমের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মো. মুঈন উদ্দীন, শিক্ষকদের মধ্য থেকে ইইই বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান এবং শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নিল দাস, শাকিল আহমেদ, আবুযর গিফারী, আবুল হাসানাত রাব্বী, সালিনুর রহমান।
বক্তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন পর্যায়ক্রমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন। জুলাই বিপ্লব আমাদের বিজয়ের পাশাপাশি বেদনারও প্রতিচ্ছবি। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, অসংখ্য মানুষ আহত হন। জুলাইয়ের প্রতিবাদের ভাষা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর অনুপ্রেরণা এবং গণতন্ত্র পুনর্জাগরণের শক্তি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ বাংলাদেশের জনগণের সাহস, ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই আন্দোলনের চেতনা ও প্রেরণায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদসহ তার টিম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত জুলাই স্মরণ ভিডিও অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধসহ গণহত্যার বিভৎস্যতা ফুটে ওঠে। এই প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রভাষক মাসুম রায়হান। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন প্রভাষক আহসান উল্লাহ ও সাদিয়া সুলতানা। সভাপতি এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে